গড় গড় তাড়াতাড়ি,
চলিছে রেলের গাড়ি,
ধারেতে নড়িছে বাড়ি,
জানালার পরে শাড়ী
রমণীরা দেখিছে।
ধন্য ধন্য সুকৌশল,
জ্বালিয়ে অঙ্গারানল
পরিতপ্ত করি জল,
বার করি বাষ্প দল,
বেগে কল চলিছে।
কিবা তড়িতের তার,
হইয়াছে সুবিস্তার,
অবনীর অঙ্গে হার,
সমাচার অনিবার,
নিমেষেতে ধাইছে।
দূরিত হইল দূর,
কালের ভাঙ্গিল ভুর,
বন্ধুর ভূধর চূর,
একদিনে কানপুর,
পথিকেরা পাইছে।
পদার্থবিদ্যার বলে,
খোদিয়ে ভূধর দলে,
সুড়ঙ্গ করেছে কলে,
তার মধ্যে গাড়ি চলে,
অপরূপ দেখিতে।
শোণ নদ ভীমকায়,
ইষ্টকের সেতু তায়,
কটিবন্ধ শোভা পায়,
নির্ভয়েতে গাড়ি যায়,
দেবকীর্ত্তি মহীতে।
অশ্ব গজে দিয়ে ছাই,
হাসিতে হাসিতে ভাই,
বোম্বাই নগরে যাই,
পথে নেবে নাহি খাই,
কি সুবিধা হয়েছে।
এ পাড়া ও পাড়া কাশী,
পাঞ্জাবিয়া প্রতিবাসী,
সহজে মান্দ্রাজি আসি,
পবিত্র গঙ্গায় ভাসি,
দিবানিশি রয়েছে।
রেলের কল্যাণে কবে,
মঙ্গল সাধন হবে,
ভারতের জাতি সবে,
একমত হয়ে রবে,
সুমিলনে মিলিয়ে।
সাধিতে স্বদেশ হিত,
মনে হয় হরষিত,
কবে বিজ্ঞ মনোনীত,
বিলাতেতে উপনিত,
হবে মুখ খুলিয়ে।।
No comments:
Post a Comment