রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
শেষ অব্দি মেঘগুলো বৃষ্টি হলো দ্যাখো-
আমি তোমাকে বলতে পারতাম,
জল, বাষ্প আর আর্দ্র বাতাসের কথা।
সূর্যাস্তের আগে
মেঘেরা পেখম মেলে
ছুঁয়ে দ্যায় প্রজাপতির ডানার তন্ময়তা
তোমাকে বলতে পারাতাম দ্রাক্ষরস আর
অফুরন্ত উল্লাসের কথা।
আমি স্পর্শের শিশির হয়ে ঝ’ড়ে
আঙুলে,চুলে ও চিবুকের
সরল নিসঙ্গতায়
হতে পারতাম অন্তরঙ্গ উদাসিনতার ঘ্রান।
একটি ওষ্ঠের ফুল
ছুঁয়ে থেকে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিয়েছি-
আমি তোমাকে বলতে পারতাম
বৃক্ষ-স্বভাবের কথা।
পুষ্প,রেনু ও প্রজাপতির কথা।
কিছুই বলিনি।
আমার হাতের পেয়ালায়
না, দ্রাক্ষার রস নয়
ভরা ছেলো মানুষের রক্ত
এতো মৃত্যু দিয়ে বোনা হচ্ছে সভ্যতার রঙিন শিখর!
এতো ঘাম দিয়ে
সভ্যতা সাজাচ্ছে
তার মখমল চুড়া!
পেয়ালা উপচে পড়ে কষ্ট।
তুমি পান করছো না কেন?
কেন সব অনর্থক বেলুন উড়িয়ে হয়ে আছো
নিমগ্ন পাথর?
তুমি পান করছো না সখি?
উপচে পড়ছে
নুয়ে পড়ছে সাহস
শেষ সীমানায় এস পেছনে দেয়াল।
গ্লাস উপচে পড়ছে-
তুমি পান করছো না কেন রাত্রি?
No comments:
Post a Comment