কামিনী রায়

কবি-পরিচিতি কামিনী রায় ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বরিশার জেলার বাসন্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনিশ শতকের শেষ দিকে যে কজন বিশিষ্ট মহিলা কবির সাক্ষাত মেলে, তাদের মধ্যে কামিনী রায় অন্যতম । ১৮৮০ খ্রীস্টাব্দে তিনি কলকাতা বেথুন স্কুল হতে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পরীক্ষা ও ১৮৮৩ খ্রীস্টাব্দে এফ.এ বা ফার্স্ট আর্টস (উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বেথুন কলেজ হতে তিনি ১৮৮৬ খ্রীস্টাব্দে ভারতের প্রথম নারী হিসাবে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
তাঁর কবিতা পড়ে বিমোহিত হন সিবিলিয়ান কেদারনাথ রায় এবং তাঁকে বিয়ে করেন। ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে কামিনী রায়ের স্বামীর অপঘাতে মৃত্যু ঘটেছিল। সেই শোক ও দুঃখ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে, যা তাঁর কবিতায় প্রকাশ পায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সংস্কৃত সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -আলো ও ছায়া (১৮৮৯), নির্মাল্য (১৮৯১), মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩), দীপ ও ধূপ (১৯২৯), জীবন পথে (১৯৩০) ।
জীবনের শেষ ভাগে তিনি হাজারীবাগে বাস করেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ খ্রীস্টাব্দে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

সূচী:
এরা যদি জানে
কত ভালবাসি
কর্তব্যের অন্তরায়
কর'না জিজ্ঞাসা
চন্দ্রাপীড়ের জাগরণ
চাহিবে না ফিরে
ডেকে আন্
দিন চলে যায়
ধরায় দেবতা চাহি
প্রণয়ে ব্যথা
পুষ্প-প্রভঞ্জন
পাছে লোকে কিছু বলে
মুগ্ধ প্রণয়
মাতৃপূজা
সুখ
স্মৃতিচিহ্ন
সে কি ?

No comments:

Post a Comment