কবি-পরিচিতি: যতীন্দ্র মোহন বাগচীর জন্ম ১৮৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর নদীয়া জেলার জামশেদপুরে। অবশ্য তার পৈতৃক নিবাস হুগলী জেলার বলাগড় গ্রামে। কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে ১৯০২ সালে তিনি বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। নাটোরের মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি ও জমিদারির সুপারিটেনডেন্ট পদে এবং কর কোম্পানি ও এফ.এন. গুপ্ত কোম্পানিতে উচ্চ পদে কর্ম সম্পাদন করেন। ১৯০৯-১৯১৩ সাল পর্যন্ত 'মানসী' পত্রিকার সম্পাদক ও ১৯২১-১৯২২ সাল পর্যন্ত 'যমুনা' পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক পদ লাভ করেন। তিনি ছিলেন 'পূর্বাচল' পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রানুসারী কবিদের মধ্যে অন্যতম এবং বাংলা সাহিত্যের একজন খ্যাতিমান কবি। পলস্নীপ্রীতি তার কবি-মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। গ্রাম-বাংলার শ্যামল-স্নিগ্ধ রূপ, পলস্নী-জীবনের সুখ-দুঃখ, ভাগ্যাহত ও নিপীড়িত নারীর প্রতি সমবেদনা তার কবিতায় আন্তরিকতার সঙ্গে সহজ সরল ভাষায় তাৎপর্যমন্ডিতভাবে প্রকাশিত।
তাঁর জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে “কাজলা দিদি” ও “অপরাজিতা” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-'লেখা' (১৯০৬), 'রেখা' (১৯১০), 'অপরাজিতা' (১৯১৫), 'নাগকেশর' (১৯১৭), 'বন্ধুর দান' (১৯১৮), 'জাগরণী' (১৯২২), 'নীহারিকা' (১৯২৭), 'মহাভারতী' (১৯৩৬) । এ ছাড়া রচনা করেছেন "পথের সাথী" নামক উপন্যাস এবং "রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য" (১৯৪৭) নামক স্মৃতিচিত্র |
১ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ সালে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
যতীন্দ্র মোহন বাগচী
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment